রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুরে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ও নির্ধারিত তারিখে দোকানঘর  নিলাম হয়নি!   সাংবাদিক শংকর রায়ের মৃত্যু তে প্রবাসী  সাংবাদিক তৌফিক আলী মিনার এর শোক জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায় আর নেই: প্রেসক্লাবের শোক এবার ৩২ টাকা কেজিতে ৫ লাখ টন ধান,   ১২ লাখ টন চাউল কিনবে সরকার  জগন্নাথপুরে লন্ডন প্রবাসীর বাড়ী বেদখল চেষ্টায় সংবাদ সম্মেলন জগন্নাথপুরে হাওরে ধান কাটার ধুম, বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানে চিটা শান্তিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা  উন্নত জাতি বিনির্মাণে সাংবাদিকরা অগ্রণী ভূমকিা পালন করেন: এমএ মান্নান এমপি জগন্নাথপুরে সার-বীজ বিতরন কালে সাবেক মন্ত্রী, দেশে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন ৩৮ বীরাঙ্গনা

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন ৩৮ বীরাঙ্গনা

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক:: মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন আরো ৩৮ জন বীরাঙ্গনা। সম্প্রতি তাদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মগবাজারে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কার্যালয়ে ৫৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মুক্তিযোদ্ধার এই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ২৩১ জন বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন।

মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনারা হলেন— নীলফামারীর জলঢাকার শাহেলা বেগম, ঠাকুরগাও সদরের আমেনা বেওয়া, লালমনিরহাট সদরের শেফালী রানী, রেজিয়া, মোসলেহা বেগম, শ্রীমতি জ্ঞানো বালা, চট্টগ্রামের পটিয়ার আছিয়া বেগম, ফেনীর ছাগলনাইয়ার রহিমা বেগম, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আফিয়া খাতুন খঞ্জনী, জয়পুরহাট সদরের জাহানারা বেগম, নওগা সাপাহারের মৃত পান বিলাসী, নাটোর বড়াইগ্রামের হনুফা, সিরাজগঞ্জের তাড়াশের অর্চনা সিংহ, মৃত পচি বেওয়া, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার ওজিফা খাতুন, দয়ারানী পরামানিক, রাবেয়া খাতুন, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মাছুদা খাতুন, মোমেনা খাতুন, এলেজান নেছা, কুষ্টিয়া সদরের মৃত রাজিয়া বেগম, বাগেরহাটের রামপালের ফরিদা বেগম, শেরপুরের নালিতাবাড়ীর মহিরন বেওয়া, আকিরন নেছা, জতিরন বেওয়া, হোসনে আরা, হাজেরা বেগম (পিতা মৃত উমেদ আলী), হাজেরা বেগম (পিতা মৃত হাসেন আলী), শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মৃত ফিরোজা খাতুন, শরীয়তপুর সদরের জুগল বালা পোদ্দার, যোগমায়া, সুমিত্রা মালো, গোপালগঞ্জ সদরের হেলেনা বেগম, ফরিদা বেগম, গাজীপুরের কালীগঞ্জের আনোয়ারা বেগম, ঝালকাঠি সদরের সীমা বেগম, আলেয়া বেগম ও হবিগঞ্জের মাধবপুরের সন্ধ্যা ঘোষ।

১৯৭১ সালে ডিসেম্বরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত নারীদের ‘বীরাঙ্গনা’ স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সম্মান জানান। তার নির্দেশনায় বীরাঙ্গনাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়, যা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আগ পর্যন্ত চলছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামরিক শাসকদের মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তানি জান্তার সহযোগীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই মধ্যে এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনাও আসে। শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চার দশক পর ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। পরের বছরের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ওই প্রস্তাব পাস হয়। এরপর ২৩১ জনকে বীরাঙ্গনা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com